ঢাকায় জাপানের মতো ট্রাফিকব্যবস্থা গড়তে তিন বছরের প্রকল্প

Passenger Voice    |    ০৪:৫৮ পিএম, ২০২২-০৪-০১


ঢাকায় জাপানের মতো ট্রাফিকব্যবস্থা গড়তে তিন বছরের প্রকল্প

আইনের কঠোর প্রয়োগ, জেল-জরিমানা আর শাস্তি কিছুতেই কমছে না সড়ক দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর মিছিল। বেসরকারি সংগঠনের হিসাব অনুযায়ী, ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে ১৪ শতাংশ। মৃত্যু বেড়েছে ১৭ শতাংশ। এমন পরিস্থিতিতে পথচারী থেকে চালক সবাই দুর্ঘটনার পেছনে নিজেদের সচেতনতার অভাবকেই দায়ী করছেন।

তাই আগামী তিন বছরের মধ্যে জাপানের টোকিও শহরের মতো ঢাকার ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে প্রকল্প হাতে নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। যেখানে আইন প্রয়োগের চেয়ে সচেতন করাকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় জাপানের অনুকরণে ট্রাফিকব্যবস্থা ও সচেতনতা কার্যক্রম চালু করা হবে। আর পুরো কাজে সহায়তা দেবে জাপান।

এ বিষয়ে এক বাসচালক বলেন, ‘কী আইন লঙ্ঘন করলাম, কোন আইনে কত টাকা জরিমানা করল–আমরা কিছুই জানি না।’

অপর এক মোটরসাইকেল চালক বলেন, আগে সবাইকে জানানো উচিত, কোন আইন লঙ্ঘন করলে কী শাস্তি হবে। মানুষ আইনই জানে না, অথচ তাদের জরিমানা করা হচ্ছে।

এবার সেই সচেতনতা বাড়াতেই নতুন প্রকল্প হাতে নিয়েছে ডিএমপি। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি-জাইকার সহায়তায় ঢাকা রোড ট্রাফিক সেফটি প্রজেক্টে জাপানের সুনিয়ন্ত্রিত ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার আদলে রাজধানীকে গড়ে তুলতে চলতি মাস থেকে কার্যক্রম শুরু করেছে ডিএমপি।

এ বিষয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) এবং ঢাকা রোড ট্রাফিক সেফটি প্রজেক্টের প্রকল্প পরিচালক মুনিবুর রহমান জানান, ‘আমাদের যে জনসচেতনতা কর্মসূচি আছে, সেই কর্মসূচির সঙ্গে মানুষের অভিজ্ঞতার কথা জানতে পারি ও যোগসূত্র স্থাপন করতে পারি, তাহলে মহানগরে যে মানুষ আছে, তাদের আরও সচেতন করা সম্ভব হবে।’

প্রকল্পের তিনটি ধাপের আওতায় প্রথমে চলবে সড়ক নিরাপত্তাবিষয়ক প্রচারণা। পরে দুর্ঘটনার কারণ বিশ্লেষণের পাশাপাশি জাপান পরিদর্শন করে সে দেশের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার আদলে গড়ে তোলা হবে ঢাকাকে।

এ বিষয়ে জাইকা বাংলাদেশের সিনিয়র কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ তারো কাটসুরাই বলেন, এ প্রকল্পের আওতায় শিক্ষার্থীরা সচেতন করবে শিক্ষকদের, শিশুরা সচেতন করবে নিজের বাবা-মাকে। আমি মনে করি, এই প্রকল্পটি যুগান্তকারী হবে।’

২০২৫ সালের মার্চে শেষ হবে তিন বছর মেয়াদি এই প্রকল্প।